অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেতে দালালের সাহায্য ছাড়াই আপনি নিজেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। নিচে ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো:
১. ভিসার ধরন নির্ধারণ: প্রথমে, আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ভিসার ধরন নির্বাচন করুন। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ভিসা রয়েছে, যেমন:
- ট্যুরিস্ট ভিসা: পর্যটন বা বন্ধুবান্ধব পরিদর্শনের জন্য।
- স্টুডেন্ট ভিসা: শিক্ষার্থীদের জন্য।
- ওয়ার্ক ভিসা: কাজের উদ্দেশ্যে।
২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ: নির্বাচিত ভিসার ধরন অনুযায়ী নিম্নোক্ত কাগজপত্র প্রস্তুত করুন:
- বৈধ পাসপোর্ট
- পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম
- সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ (যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রমাণপত্র (যেমন চাকরির প্রমাণপত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি চিঠি)
- স্বাস্থ্য বীমা (যদি প্রয়োজন হয়)
- ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ (যদি প্রয়োজন হয়)
৩. অনলাইনে আবেদন: অস্ট্রেলিয়ান সরকারের ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে (https://immi.homeaffairs.gov.au) একটি ImmiAccount তৈরি করুন। এরপর:
- আবেদন ফর্ম পূরণ করুন
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন
- ভিসা ফি পরিশোধ করুন
৪. বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান: আবেদন জমা দেওয়ার পর, আপনাকে বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি) প্রদান করতে হবে। বাংলাদেশে VFS Global এই সেবা প্রদান করে। নিকটস্থ VFS সেন্টারে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করুন।
৫. আবেদন প্রক্রিয়াকরণ ও সিদ্ধান্ত: আবেদনের প্রক্রিয়াকরণ সময় ভিসার ধরন অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, এটি ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন বিভাগ আপনার আবেদন মূল্যায়ন করবে এবং সিদ্ধান্ত জানাবে।
৬. ভিসা প্রাপ্তি: আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনি ইমেইলের মাধ্যমে ভিসা সংক্রান্ত তথ্য পাবেন। এই তথ্য পাসপোর্টের সাথে সংযুক্ত করে ভ্রমণের প্রস্তুতি নিন।
সতর্কতা:
- সব তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন
- মিথ্যা তথ্য বা জাল কাগজপত্র প্রদান থেকে বিরত থাকুন
- আবেদন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ নিজে সম্পন্ন করুন
নিয়মিতভাবে অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট পরিদর্শন করুন, কারণ ভিসা প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলী সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে।
Post a Comment