Schengen এবং Non-Schengen-এর বিস্তারিত পার্থক্য

 

Schengen এবং Non-Schengen-এর বিস্তারিত পার্থক্য



Schengen (শেঞ্জেন) কী?

শেঞ্জেন হলো ইউরোপের একটি ভিসামুক্ত ভ্রমণ অঞ্চল, যেখানে একবার প্রবেশ করলে আপনি আলাদা ভিসা বা ইমিগ্রেশন চেক ছাড়াই অন্য সদস্য দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন।

শেঞ্জেন অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য:

  1. একটি মাত্র ভিসা: একবার শেঞ্জেন ভিসা পেলেই ৯০ দিনের জন্য সব শেঞ্জেন দেশ ভ্রমণ করা যায়।
  2. সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নেই: এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার সময় পাসপোর্ট চেক হয় না।
  3. EU এবং Non-EU সদস্যরা রয়েছে: কিছু শেঞ্জেন দেশ EU-এর অন্তর্ভুক্ত, আবার কিছু দেশ EU-এর বাইরে।

বর্তমানে শেঞ্জেন অঞ্চলের সদস্য দেশ (২৯টি)

  1. ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) ২৫টি দেশ:
    • পশ্চিম ইউরোপ: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস
    • উত্তর ইউরোপ: ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে, সুইডেন
    • দক্ষিণ ইউরোপ: গ্রীস, ইতালি, মাল্টা, পর্তুগাল, স্পেন
    • পূর্ব ইউরোপ: চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া
    • নতুন যোগ হওয়া: বুলগেরিয়া, রোমানিয়া (২০২৪ সালে)
  2. EU-এর বাইরের ৪টি দেশ: আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, লিচেনস্টেইন

Non-Schengen (নন-শেঞ্জেন) কী?

Non-Schengen হলো সেই দেশগুলো যেগুলো শেঞ্জেন চুক্তির অংশ নয়। এসব দেশে ভ্রমণ করতে হলে প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা ভিসা লাগবে।

নন-শেঞ্জেন অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য:

  1. প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা ভিসা প্রয়োজন
  2. সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ থাকে (Passport Check বাধ্যতামূলক)
  3. EU-এর কিছু দেশও Non-Schengen (যেমন আয়ারল্যান্ড, সাইপ্রাস)
  4. অনেক দেশ ইউরোপের হলেও শেঞ্জেন চুক্তিতে নেই

Non-Schengen দেশসমূহ:

  • ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) সদস্য, কিন্তু শেঞ্জেন নয়:
    • আয়ারল্যান্ড, সাইপ্রাস
  • অন্যান্য ইউরোপীয় Non-Schengen দেশ:
    • যুক্তরাজ্য (UK), তুরস্ক, ইউক্রেন, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মন্টেনেগ্রো, বেলারুশ
  • রাশিয়া ও অন্যান্য: রাশিয়া, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ইত্যাদি



উদাহরণ:

  • Schengen: ধরো তুমি ফ্রান্সে গিয়েছো, এখন তুমি জার্মানি, ইতালি, স্পেন বা নেদারল্যান্ডস সহজেই ঘুরতে পারবে, নতুন ভিসার দরকার হবে না।
  • Non-Schengen: তুমি যদি যুক্তরাজ্যে (UK) যাও, তাহলে তোমার আলাদা ব্রিটিশ ভিসা লাগবে, এবং যদি পরে জার্মানি যেতে চাও, তাহলে নতুন করে Schengen ভিসা নিতে হবে।

উপসংহার:

  • Schengen অঞ্চল হলো একধরনের ওপেন-বর্ডার সিস্টেম, যেখানে ইউরোপের অনেক দেশ মিলে এক ভ্রমণ অঞ্চল তৈরি করেছে।
  • Non-Schengen দেশগুলোতে ঢুকতে হলে প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা ভিসা ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া দরকার হয়।

তুমি যদি ইউরোপ ভ্রমণের পরিকল্পনা করো, তাহলে কোন দেশ শেঞ্জেন, কোনটা নয়—তা বুঝে ভিসা প্রসেস করা ভালো

0 Comments

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post